April 25 · 2014
পৃথিবীতে
ছেলেদের একটা ভারী সুবিধা আছে। লালিত
স্বপ্নগুলোকে স্বাধীনভাবে বাস্তবায়ন করতে পারে। ইচ্ছে হলে স্বপ্ন পূরণে
এগিয়ে চলে, আবার ইচ্ছে হলে স্বপ্ন
ফেলে হাত গুটিয়ে বসে থাকে। স্বপ্ন পূরণ
করা এবং স্বপ্নকে অপূর্ণ রেখে দেয়া দুটোই তাদের হাতের মুঠয়। তাই
ছেলেদের কাছে স্বপ্ন হল শিশুদের খেলনার পুতুলের মত। ইচ্ছে হলে খেলে,
আবার মন না চাইলে সুকেসে সাজিয়ে রেখে
দেয়।
কিন্তু মেয়েরা এই সুবিধেটা পায় না। নিজেদের আজন্ম লালিত স্বপ্নগুলোকে তারা যথেচ্ছা পূরণ করতে পারে না। তাদের প্রতিটি স্বপ্ন ঝুলে থাকে অজ্ঞাত কোন ব্যক্তির পছন্দ-অপছন্দের উপর। সেই 'মহামানব' চাইলে স্বপ্ন পূরণ হবে নইলে স্বাদের স্বপ্ন গঙ্গায় বিসর্জন দিতে হবে। ছেলেদের কাছে স্বপ্নগুলো হচ্ছে পুতুল আর স্বপ্নদের কাছে মেয়েগুলোই পুতুল।
একটা স্বপ্নের কথাই ধরা যাক। লেখালেখি করা, লেখক হওয়া, অবশেষে একজন প্রতিষ্ঠিত সাহিত্যিক হওয়া এটা একটা মানুষের জীবনে দারুণ স্বপ্ন হতে পারে। অনেক ছেলে এবং অনেক মেয়েই এই স্বপ্ন লালন করে ছোটকাল থেকেই।
কিন্তু এই স্বপ্ন পূরণে ছেলেদের কোন বাঁধা নেই। ইচ্ছে এবং দৃঢ় সঙ্কল্প থাকলে ধীরে ধীরে ছেলেটি একদিন সমাজে প্রতিষ্ঠিত সাহিত্যিক হিসেবে আবির্ভূত হবে। কিন্তু মেয়েটির পথ এতটা সরল নয়। স্বপ্ন পূরণের বৈধতা নির্ভর করে তার স্বামীর চাওয়া না চাওয়ার উপর! স্বামী চাইলে সে এগিয়ে যাবে, নইলে স্বপ্ন শিখা দপ করে নিভে যাবে!
আমার বোনের লেখালেখির খুব ইচ্ছে ছিল। লেখার হাতও বেশ ভালো ছিলো। আগ্রহও ছিলো প্রচণ্ড। নিয়মিত রোজনামচা লেখার পাশাপাশি গল্প, প্রবন্ধ, রচনা ইত্যাদি ভালোই লিখতে শুরু করেছিল। একসময় 'ভালো লেখিকা হয়ে ওঠা' তার স্বপ্নে পরিণত হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্য! সে জানত না, তার জীবনের স্বপ্নগুলো অজ্ঞাত এক পুরুষের চাওয়া না চাওয়ার উপর ঝুলে আছে। আমিও জানতাম না! নইলে লেখা শেখাতে ওর পেছনে এত শ্রম আর সাধনা ব্যয় করতাম না।
এখন ওর বিয়ে হয়ে গেছে। পুরো দস্তুর একজন সাংসারিক বনে গেছে। হাত দুটো গুটিয়ে বসে আছে। লেখালেখির কথা বেমালুম ভুলে গেছে। সংসারের ব্যস্ততায় লেখালেখি হয়ে উঠে না তা নয়, বরং তার স্বামীর পছন্দ না! তাই ওর স্বপ্নটা কে জ্যন্ত মাটি চাপা দিয়েছে!
স্বপ্ন পূরণে ছেলে-মেয়ের এই যে তফাৎ, এটা একটা বৈষম্য। এবং অবশ্যই সামাজিক বৈষম্য। ধর্ম এমন বৈষম্যের কথা কখনো বলে নি। আসলে সামাজিকভাবে আমরা পুরুষরা অনেক বেশি পুরুষতান্ত্রিক। মেয়েদের বৈধ স্বপ্ন ও চাহিদাগুলোও পুরুষদের ইচ্ছার অধীন করে রাখি। আর মেয়েরা স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় ডানাকাটা পাখির মত ছটফট করতে থাকে!
কিন্তু মেয়েরা এই সুবিধেটা পায় না। নিজেদের আজন্ম লালিত স্বপ্নগুলোকে তারা যথেচ্ছা পূরণ করতে পারে না। তাদের প্রতিটি স্বপ্ন ঝুলে থাকে অজ্ঞাত কোন ব্যক্তির পছন্দ-অপছন্দের উপর। সেই 'মহামানব' চাইলে স্বপ্ন পূরণ হবে নইলে স্বাদের স্বপ্ন গঙ্গায় বিসর্জন দিতে হবে। ছেলেদের কাছে স্বপ্নগুলো হচ্ছে পুতুল আর স্বপ্নদের কাছে মেয়েগুলোই পুতুল।
একটা স্বপ্নের কথাই ধরা যাক। লেখালেখি করা, লেখক হওয়া, অবশেষে একজন প্রতিষ্ঠিত সাহিত্যিক হওয়া এটা একটা মানুষের জীবনে দারুণ স্বপ্ন হতে পারে। অনেক ছেলে এবং অনেক মেয়েই এই স্বপ্ন লালন করে ছোটকাল থেকেই।
কিন্তু এই স্বপ্ন পূরণে ছেলেদের কোন বাঁধা নেই। ইচ্ছে এবং দৃঢ় সঙ্কল্প থাকলে ধীরে ধীরে ছেলেটি একদিন সমাজে প্রতিষ্ঠিত সাহিত্যিক হিসেবে আবির্ভূত হবে। কিন্তু মেয়েটির পথ এতটা সরল নয়। স্বপ্ন পূরণের বৈধতা নির্ভর করে তার স্বামীর চাওয়া না চাওয়ার উপর! স্বামী চাইলে সে এগিয়ে যাবে, নইলে স্বপ্ন শিখা দপ করে নিভে যাবে!
আমার বোনের লেখালেখির খুব ইচ্ছে ছিল। লেখার হাতও বেশ ভালো ছিলো। আগ্রহও ছিলো প্রচণ্ড। নিয়মিত রোজনামচা লেখার পাশাপাশি গল্প, প্রবন্ধ, রচনা ইত্যাদি ভালোই লিখতে শুরু করেছিল। একসময় 'ভালো লেখিকা হয়ে ওঠা' তার স্বপ্নে পরিণত হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্য! সে জানত না, তার জীবনের স্বপ্নগুলো অজ্ঞাত এক পুরুষের চাওয়া না চাওয়ার উপর ঝুলে আছে। আমিও জানতাম না! নইলে লেখা শেখাতে ওর পেছনে এত শ্রম আর সাধনা ব্যয় করতাম না।
এখন ওর বিয়ে হয়ে গেছে। পুরো দস্তুর একজন সাংসারিক বনে গেছে। হাত দুটো গুটিয়ে বসে আছে। লেখালেখির কথা বেমালুম ভুলে গেছে। সংসারের ব্যস্ততায় লেখালেখি হয়ে উঠে না তা নয়, বরং তার স্বামীর পছন্দ না! তাই ওর স্বপ্নটা কে জ্যন্ত মাটি চাপা দিয়েছে!
স্বপ্ন পূরণে ছেলে-মেয়ের এই যে তফাৎ, এটা একটা বৈষম্য। এবং অবশ্যই সামাজিক বৈষম্য। ধর্ম এমন বৈষম্যের কথা কখনো বলে নি। আসলে সামাজিকভাবে আমরা পুরুষরা অনেক বেশি পুরুষতান্ত্রিক। মেয়েদের বৈধ স্বপ্ন ও চাহিদাগুলোও পুরুষদের ইচ্ছার অধীন করে রাখি। আর মেয়েরা স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় ডানাকাটা পাখির মত ছটফট করতে থাকে!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন