ইসলামে শিশুর সাথে সুন্দর আচরণ


আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ তাই শৈশবকাল থেকেই শিশুকে আদর-যত্ন, স্নেহ-ভালোবাসা দিয়ে এবং সুন্দর ও মানবিক আচরণের মাধ্যমে তাদেরকে  মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব আমার আপনার সকলের যাতে সুনাগরিক হিসেবে তারা ভবিষ্যতে আদর্শ সমাজ ও দেশ গড়ার কাজে অংশ নিতে পারে
আমরা মুসলমান ইসলাম আমাদের ধর্ম এটি একটি পূর্ণাঙ্গ সার্বজনীন জীবনব্যবস্থা মানবতার ধর্ম ইসলামে ধনী, দরিদ্র, ছোট বড় সকল শ্রেণীর মানুষের অধিকার এবং কর্তব্যের কথা রয়েছে বিশেষ করে শিশুদের প্রতি সুন্দর ও উত্তম আচরণের ব্যপারে ইসলামে বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
এক্ষেত্রে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সা. এর জীবন আমাদের জন্য উত্তম ও অনুকরণীয় আদর্শ। শিশুদের সঙ্গে রাসূলে কারীম সা. এর ব্যবহার ছিল স্নেহপূর্ণ, কোমল এবং বন্ধুসূলভ তিনি তাদের হাসি আনন্দে যোগ দিতেন ছোটদের চপলতায় তিনি কখনও অসন্তষ্ট কিংবা বিরক্ত হতেন না তাদের সঙ্গে সবসময় হাসিমুখে কথা বলতেন একজন নবী হয়েও শত ব্যস্ততার মাঝে তিনি শিশুদের খোঁজখবর নিতেন শিশুর প্রতি মহানবী (সাঃ)-এর ভালোবাসার কারণে শিশুরাও মহানবী (সাঃ)কে গভীরভাবে ভালোবাস শিশুরা তাঁর কাছে এলে নিজেদের সব দুঃখ-কষ্ট ভুলে যেতো শিশুদের সাথে মহানবীর আচরণ কেমন ছিল এ প্রসঙ্গে নিচে কয়েকটি হাদীস উল্লেখ করা হল-
১. ইমাম বোখারী (রহঃ) সাহাবী হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)-এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, একদিন রাসূল (সাঃ) নিজ নাতি হাসান (রাঃ) কে চুমু খেলেন সে সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাহাবী আকরা বিন হারেস রা.। তিনি ছিলেন একটু কঠিন প্রকৃতির মানুষ তিনি এটা দেখে বললেন, আমি দশ সন্তানের জনক কিন্তু আমি কখনও তাদের আদর করে চুমু খাইনি তখন মহানবী (সাঃ) তার দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘যে দয়া করে না, তার প্রতিও দয়া করা হয় না (বোখারী: ৫৬৫১)
২. ক হাদীসে আম্মাজান আয়েশা রা. বলেন, এক গ্রাম্যব্যক্তি নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে আসল। নবীজী তাকে বললেন, তোমরা কি তোমাদের শিশুদেরকে চুমু খাও?সে বলল, আমরা তাদেরকে চুমু দেই না। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,তোমাদের অন্তরে যদি দয়া-মায়া না থাকে তাহলে আমার কী করার আছে? -সহীহ বুখারী, হাদীস ৫৬৫২; সহীহ মুসলিম, হাদীস ৬৪
৩.একদিন প্রিনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) খেতে বসেছিলেন। কিন্তু খানা তখনও শুরু করেননি। উম্মে কায়েস বিনতে মুহসিন (রাঃ) তার শিশুপুত্রটিকে কোলে করে রাসূলের সাথে দেখা করতে আসলেন। শিশুটিকে দেখে রাসূল (সাঃ) তার দিকে এগিয়ে এলেন। পরম আদরে শিশুটিকে কোলে তুলে নিয়ে খাবারের জায়গায় গিয়ে বসলেন। শিশুটি নবীজীর আদর পেয়ে তাঁর কোলেই পেশাব করে ভিজিয়ে দিলো। এ ঘটনায় রাসূল (সাঃ) মুচকি হাসলেন। তাঁর চেহারায় কোন বিরক্তি প্রকাশ পেলো না। বরং তিনি একজনকে পানি আনতে  বললেন। পানি আনা হলে তিনি পানি ঢেলে ধুয়ে নিলেন
৪. হযরত জাবের বিন সামুরাহ (রাঃ) বলেন, আমি তখন শিশু ছিলাম। রাসুল (সাঃ) এর সাথে ফজরের নামাজ পড়লাম। নামাজ শেষে রাসুল (সাঃ) বের হলেন। বাইরেই সাক্ষাৎ হল কিছু ছোটছোট বালকের সাথে। দয়ার নবী রাসুল (সাঃ) এক এক করে প্রত্যেক বালককে আদর করে চেহারায় হাত বুলাচ্ছেন। আমার চেহারায় ও তিনি হাত বুলিয়ে দিলেন আমি তার হাত নাকের কাছে নিয়ে শুকে দেখলাম। মনে হল যেন তার হাতখানা এই মাত্র কোন আতরের সমুদ্র থেকে বের করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমার গালে রাসুল (সাঃ) এর হাতের সেই স্পর্শের কথা এখনও ভুলিনি(মুসলিম শরীফ) 
৫. বিখ্যাত সাহাবী আবু নায়ীম রা. তার শিশুকালের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, কোনো এক সফর থেকে মদীনায় ফিরছিলেন বিশ্বনবী (সাঃ) ও তাঁর সাহাবীদের একটি দল৷ মহানবী (সাঃ) ও তাঁর কাফেলা শহরের দিকে আসছে এটা দেখতে পেয়ে আমরা আমাদের খেলাধুলা বন্ধ করে প্রিয় নবী(সাঃ)'র আগমনের অপেক্ষা করতে লাগলাম৷ বিস্ময়ের ব্যাপার হলো, কোনো কিছুই আমাদেরকে খেলাধুলা থেকে বিরত রাখতে পারতো না৷ কিন্তু সব সময় মুখে হাসি লেগে থাকা প্রিয় নবীজীকে দেখলেই আমরা খেলা ভুলে যেতাম৷ রাসূলের কাফেলা যখন শহরে ঢুকতখন আমরা শিশুরা আনন্দে উচছ্বসিত অবস্থায় সেদিকে ছুটে গেলাম৷ ভ্রমণের কারণে শ্রান্ত ও ক্লান্ত হওয়া সত্ত্বেও তিনি আমাদের জন্যে থামলেন এবং আমাদেরকে তাঁর দিকে আসার জন্যে সাহাবীদেরকে পথ ছেড়ে দিতে বললেন৷ আবু নায়ীম রা. বললেন, আমার শিশু বন্ধুদের অনেকেই রাসূল(সাঃ)কে জড়িয়ে ধরলো এবং কেউ কেউ খুশীতে রাসূলের চারদিকে পাখীর মতো ঘুরতে লাগলো৷ আমিও প্রিয় নবী(সাঃ)'র কাছে আসার জন্যে অপেক্ষার প্রহর গুণছিলাম, কিন্তু লাজুক হওয়া আমি এক কোনে দাঁড়িয়েছিলাম এবং আনন্দের এ দৃশ্যগুলো দেখছিলাম৷ এমন সময় রাসূল মুচকি হেসে আমার দিকে এগিয়ে আসলেন এবং তাঁর দু হাত বাড়িয়ে দিলেন৷ আর আমিও সাথে সাথে রাসূল (সাঃ)কে আলিঙ্গন করলাম৷ রাসূল (সাঃ) আমার সাথে আলিঙ্গন করলেন এবং আমার কপালে চুমু দিলেন এবং আমার পিঠ চাপড় দিলেন৷ সাহাবী আবু নায়ীম বলেন, এটা ছিল আমার জন্যে অবর্ণনীয় মুহূর্ত যা আমি কখনো ভুলতে পারি না৷ মহানবীর সান্নিধ্যের সেই স্মৃতি ছিল খুবই মধুর!
৬. একদিন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এক শিশুকে কোলে নিলেন৷  শিশুটি নবীজীর কোলে পস্রাব করে দিল। শিশুটির মা শিশুর প্রতি রাগ করে নিজের কাছে টেনে নিল৷ এ অবস্থায় শিশুটি কান্নাকাটি শুরু করে দিল৷ তখন রাসূল (সাঃ) মাকে বললেন, শান্ত হও! কেন শিশুটিকে কাঁদাচেছা? পানি দিয়ে ধুয়ে আমার কাপড় পরিস্কার করা যাবে, কিন্তু তুমি শিশুটির সাথে যে আচরণ করছো তাতে কিভাবে এই নিষ্পাপ শিশুর হৃদয় থেকে কষ্ট মোচন হবে? মানুষের মনোস্তাত্ত্বিক চাহিদাগুলোর মধ্যে ভালোবাসা বা স্নেহ যে অন্যতম, বিশেষ করে, স্নেহ ও ভালোবাসা শিশুদের জন্যে যে খুবই জরুরী তা বিশ্বনবী(সাঃ) এভাবে মানুষের কাছে নিজ আচরণের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন৷  তিনি দৃষ্টান্তসহ এ বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়ে গেছেন৷ শিশুদের দয়া ও স্নেহ করাকে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য-সুরক্ষা এবং মেধা ও বুদ্ধিবৃত্তি বিকাশের অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি বলে মনে করা হয়৷
৭. বিশ্বনবী (সাঃ) শুধু শিশুদের পছন্দ করতেন তা-ই নয়, একইসাথে তিনি অন্যদের বাস্তবে দেখিয়ে দিতেন যে কিভাবে শিশুদের আদর-স্নেহ করতে হয় ৷ রাসূল(সাঃ) শিশুদের সাথে খেলতেন এবং এমনকি তাদের খেলনা ও পোষা প্রাণীরও খবর নিতেন এবং মাঝে-মধ্যে তাদের সাথে রসিকতাও করতেন হযরত আনাস (রাঃ)বলেন, রাসূল (সাঃ)  আমাদের বাড়িতে প্রায় আসতেন আমার ছোট ভাইয়ের উপনাম ছিল আবু উমায়ের তার একটি বুলবুলি পাখি ছিল সে তার প্রিয় পাখিটি নিয়ে খেলা করতো একদিন পাখিটি মারা গেল তখন রাসূল (সাঃ)  আমাদের বাড়িতে এসে দেখেন, আবু উমায়েরের মন খারাপ তখন মহানবী (সাঃ) সান্ত্বনা দিয়ে রসিকতার সাথে জিজ্ঞেস করলেন, হে আবু উমায়ের! কী করল নুগায়ের? [সুনানে আবু দাউদ : ৪৯৭১]
৮. হযরত আবদুল্লাহ বিন জাফর (রাঃ) বলেন, মহানবী (সাঃ) যখন কোনো সফর শেষে বাড়িতে ফিরতেন তখন বাচ্চারা তার আগমনের পথে গিয়ে অভ্যর্থনা জানাত একদা তিনি তাঁর সফর থেকে এসে আমাকে তাঁর বাহনের সামনে বসালেন অতঃপর নাতি হাসান, হোসেন (রা.)কে বাহনের পেছনে বসালেন তারপর আমাদের নিয়ে তিনি মদীনায় প্রবেশ করলেন (সহীহ মুসলিম : ৬৪২১)
৯. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, বিজয়ীবেশে মহানবী (সাঃ) যখন মক্কায় প্রবেশ করেন তখন আবদুল মুতালিব বংশের ছোট ছোট ছেলেরা তাঁর কাছে আসে তিনি তাদের একজনকে নিজ বাহনের সামনে বসালেন এবং অপর একজনকে পেছনে বসালেন এভাবে তিনি শিশুদেকে তাঁর বাহনের সামনে-পেছনে বসিয়ে আনন্দ দিতেন (সহীহ বোখারী: ১৭০৪)
১০. নামাযের মত মহান ইবাদতেও রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিশুদের প্রতি খেয়াল রাখতেন। তিনি বলেন, আমি কখনো নামায দীর্ঘ করার ইচ্ছা করি। কিন্তু কোনো শিশুর কান্নার আওয়াজ শুনে নামায সংক্ষিপ্ত করে ফেলি। কেননা বাচ্চার কান্নার কারণে মায়ের কষ্ট হয়। (সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৭৭; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ১৬১০; সহীহ ইবনে খুযায়মা ৯৮৯ সুনানে ইবনে মাজাহ ৯৮৯; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ২১৩৯)
আবার এমন ঘটনাও ঘটেছে, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সিজদায় গিয়েছেন আর হাসান বা হুসাইন রা. তাঁর পিঠে চড়ে বসেছেন। ফলে তিনি দীর্ঘ সময় সিজদায় থাকতেন। (অপেক্ষা করতেন কখন তারা পিঠ থেকে নামবে) -সুনানে নাসাঈ, হাদীস ১১৪১; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২৭৬৮৮; মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস ৪৭৭৫
উপরে উল্লেখিত হাদীসগুলো এ কথাই প্রমাণ করে যে, শিশুর সাথে রাসূলের আচরণ ছিল সবচে’ সুন্দর ও মার্জিত। শিশুদের প্রতি রাসূলের এই ভালবাসা শুধু নিজের সন্তান ও নাতি-নাতনি কিংবা আত্মীয়-স্বজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলনা। বরং তিনি ভালবাসতেন সকল শিশুকে। আদর-স্নেহ করতেন সব বাচ্চাকেই। বিশেষ করে যেসব শিশুর বাবা-মা কেউই বেঁচে নেই, সেসব অনাথ শিশুদের প্রতি মহানবীর ভালবাসা ও মমত্ববোধ ছিল অগাধ তিনি তাদেরকে যেমন স্নেহ করতেন তেমনি তাদের নিয়মিত খোঁজখবর নিতে এবং প্রয়োজনে তাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে শুধু তাই নয়, বরং এতিম ও অনাথ শিশুদের দায়িত্ব নেয়ার জন্য তিনি তার উম্মতকে নির্দেশ দিয়েছেন হযরত আবু দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, একদিন এক ব্যক্তি মহানবী (সাঃ)-এর কাছে হাজির হয়ে বলল, আমার অন্তর বড়ই কঠিন তিনি বললেন, তুমি কি তোমার অন্তর কোমল করতে চাও? সে বলল, হ্যাঁ তিনি বললেন, তাহলে এতিম বাচ্চাদের আদর কর, স্নেহ-ভালোবাস প্রদান কর, তাদের মাথায় হাত বুলিয়ে দাও, তাদের খাবার খাওয়াও তবেই তোমার অন্তর কোমল হবে এতিম ও অনাথ শিশুদের প্রতিপালনকারীকে জান্নাতের সুসংবাদও দিয়েছেন। বলেছেন, আমি এবং এতিমের প্রতিপালনকারী জান্নাতে এভাবে থাকব একথা বলে তিনি তর্জনী মধ্যমা অঙ্গুলির মধ্যে সামান্য ফাঁক রাখলেন  বোখারী : ৪৯৯৮)
কিন্তু অনুতাপের বিষয় হল, ইসলাম ও মহানবী শিশুদের সাথে সুন্দর ও কমোল আচরণের শিক্ষা দিলেও আমরা শিশুদের সাথে ভাল আচরণ তো করি না বরং আমাদের চারপাশে শিশু নির্যাতনের চিত্র অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে দারিদ্র্যপীড়িত আমাদের দেশের অনেক শিশুই লেখাপড়ার সুযোগ পাই না ক্ষুধার জ্বালা মেটাতে অনেক সময় তারা সমাজের বিত্তশালী লোকের বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করে থাকে গৃহ পরিচারিকার কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় তারা গৃহকর্ত্রী বা বাড়ির মালিকের হাতে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয় এদের মধ্যে অনেকে মারাও যায় শিশু নির্যাতন বর্তমানে ভয়াবহ সামাজিক ব্যধিতে রূপ নিয়েছে অথচ খাদেম বা কর্মচারীদের সাথে রাসূল সা. এর আচরণ ছিল সর্বোত্তম। আনাস রা. নবীজীর খেদমত করতেন, কিন্তু নবীজী কখনো তার গায়ে হাত তোলা তো দূরের কথা, কখনো কথাও বলেননি যে, আনাস! তুমি এই কাজটি কেন করেছ, আর কাজটি কেন করনি
শিশুর প্রতি নিষ্ঠুর দয়াহীন আচরণ করে  আমরা আমাদের ধর্ম ও সমাজকে কলঙ্কিত করছি হৃদয়হীন নির্দয় ব্যক্তি হল সমাজের সবচেয়ে বড় হতভাগ্য তার প্রতি আল্লাহর রহমত বর্ষিত হবে না হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) এর সূত্রে মহানবী (সা.) বলেন, ‘কেবল হতভাগ্য ব্যক্তির হৃদয় থেকেই দয়া তুলে নেয়া হয় [তিরমিজি-১৯২৩] অন্য এক হাদীসে মহানবী (সাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি শিশুকে স্নেহ করে না এবং বড়দের সম্মান দেখায় না সে আমাদের দলভুক্ত নয় এজন্য ওলামায়ে ক্বেরাম বলেন, ছোটদের প্রতি দুর্ব্যবহার কবিরা গুনাহের সমতুল্য অতএব আসুন, সব ধরণের নিষ্ঠুরতা পরিহার করে আমরা আদর-যত্ন, স্নেহ-ভালোবাসা দিয়ে শিশুকে মানুষ করি, শিশুর সাথে সুন্দর ও সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ করি
আল্লাহ তা’লা আমাদেরকে শিশুদের সাথে কমোল ও নম্র আচরণ করার এবং মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করার তৌফিক দান করুন। আমীন।

-মুফতি মাহমুদ হাসান
ইমাম ও খতীব
আল-হেরা জামে মসজিদ

জিগাতলা, ধানমণ্ডি, ঢাকা

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন