শহিদী চত্বর নাকি পলায়ন চত্বর!

May 5 2014
বেশ কিছু দিন আগের কথা। কওমী স্বীকৃতি নিয়ে এক শ্রেণী আলেমের তখন বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস। ওদের তোড়জোড় দেখে আমারই ইচ্ছে হচ্ছিল আরেকবার দাওরাটা পড়ি। তাহলে কপালে সরকারী চাকুরী না ঝুটলেও ভাগ্যের জোড়ে একখান সার্টিফিকেট তো জুটতে পারে।


সার্টিফিকেট দেয়ার কথা ছিল আওয়ামী সরকারের, যারা গত ৫ ই মে গণহত্যা করেছিল এই কওমী আলেমদেরই! তাই স্বভাবতই সেই দরবারী আলেমরা নিজেদেরকে আওয়ামী সরকারের 'মুকাররাবীন' প্রমাণের জন্য রীতিমত আদাজল খেয়ে নেমেছিল। দফায় দফায় ওদের সাথে মিছিল মিটিং করে নিজেদেরকে হেফাজত বিরোধী, কওমী পুরোধা এবং আওয়ামীপন্থী প্রমাণের জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছিল।



সেই সময় এক ভদ্দর লোকের সাথে ফোনে কথা হচ্ছিল। তিনি ছিলেন ফরিদ সাহেব প্রতিষ্ঠিত জামিয়া ইক্বরার ছাত্র। ফরিদ সাহেবের অন্ধভক্তি তাকে বোধহয় পানির সাথে গুলিয়ে খাইয়ে দেয়া হয়েছিল। স্বীকৃতির ব্যপারে তিনি ফরিদ সাহেবের খুব সাফাই এবং মহিমা-মাহাত্ব বর্ণনা করছিলেন। প্রসঙ্গক্রমে উঠে আসে শাপলা চত্বরের কথা। তিনি বলে উঠলেন,'এটাকে শাপলা চত্বর না বলে পলায়ন চত্বর বলা উচিৎ'



এতটুকু শোনার পর ফোনটা কেটে দিয়েছিলাম। ভিতরে রক্ত ক্ষরণ শুরু হয়েছিল। স্মৃতিতে ভেসে উঠছিল, আল্লাহপ্রেমী কিছু মানুষের উপর মধ্য রাতের গণহত্যার এক বিভীষিকাময় দৃশ্য অন্যদিকে এই দরবারী আলেমদের মুখের ক্রুর হাসি!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন